সম্প্রতি রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফাইল চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। এর আগেও দুইটি মন্ত্রণালয়ের গোপন কিছু ফাইল চুরির কারণে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলো। পরে যদিও মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছে সে।
চুরি, চুরি, আর চুরি। চুরি করেছে শুনলেই এখন শুধু রোজিনার কথা মাথায় আসে আগে। কিছুদিন আগেও আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ ছোট ভাইয়ের একটি ছোট প্যান্ট চুরি হয়েছে খবর এলো। চোরও ধরা পড়েছে। চোরের নাম ছিলো তারেক। নামটা শুনে তাও মেনে নিতে পারছিলাম না। বারবার মাথায় টংটং করছে একটি নাম, রোজিনা ইসলাম। তারেকের চুরি প্রমাণ পেলেও, মন বলছে রোজিনা। চুরি আর রোজিনা কী কোন সমার্থক শব্দ!? আমাদের টীমের গুরুত্বপূর্ণ মেম্বার জিয়া আহমেদকে রোজিনার ইসলামের এক স্কুলের বান্ধবী তার সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েছেন। যা শুনে আমরা অবাক। তিনি নাম গোপন রেখে মোটো ফোনে জানিয়েছেন-
‘রোজিনা আমার খুব কাছের বান্ধবী ছিলো। একসাথে স্কুলে যাওয়া-আসা করতাম। ক্লাস টেনে উঠে আমি একটি রিলেশনে জড়াই। আমাদের মাঝখানে ঝগড়া হলে তা রোজিনা হ্যান্ডেল করতো। তাও আমাদের দিন হাসি-খুশিতেই কাটছিলো। একদিন আমার বয়ফ্রেন্ড আমার সাথে অকারণেই ব্রেকাপ করে বসলো। আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। রোজিনাও আর আমার সাথে বন্ধুত্ব রাখলো না। কিছুদিন যেতে না যেতেই খুকু আর রোজিনাকে দেখলাম পার্কে বসে আইসক্রিম খেতে। খুকু তাকে আইস্ক্রিমও খাইয়ে দিচ্ছিলো, রোজিনাও খুকুকে। তখন বুঝতে পারলাম এই রোজিনায় আমার খুকুকে চুরি করে নিজের করে নিয়েছে। সেদিন থেকে আমি রোজিনার সাথে আর কথা বলি না।’
এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে রোজিনা ইসলামকে বেশ কয়েকবার ফোন দিলো আমাদের টীম মেম্বার জিয়া। শেষবারে রিসিভ করে বললেন- ‘আমি আড়ং এর একটি শাড়ি ব্যাগে ঢুকাচ্ছি কোণায় এসে। আপনাকে বের হয়েই ফোন দিচ্ছি।’ অপেক্ষা করতে করতে ৪.২০ টায় ফোন দিলেন। জিয়ার সব প্রশ্ন শুনে উত্তর দিলেন-
— হা হা। এটা মুন্নি বলেছে না? হ্যাঁ কথা সত্য। খুকুর মন আমিই চুরি করেছিলাম। আর যেদিন তাকে কাছে পেলাম, সেদিন থেকে বুঝেছি উন্নতি হয় চুরি করলেই। আমার চুরির প্রতি আগ্রহ হুহু করে বেড়ে গেলো। আর সেটা এখনো ছাড়তে পারছি না।
: ম্যাম তাই বলে কি একটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলও?
– অয়েল থেকে কয়েল। আমার কাছে সব গুরুত্বপূর্ণ। আমার চুরি করতেই ভালো লাগে। আমার ছেলে-মেয়েদেরও চোর বানাবো ইনশাআল্লাহ!
: ম্যাম নৈতিকতা বলেও একটা শব্দ আছে।
– তাই? ওকে। আরেকটা প্রশ্ন করলেই আপনার অই আইফোনও হারিয়ে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। বুঝতে পেরেছেন?
এমন কথা শুনেই টীম মেম্বার জিয়া সাথে সাথে ফোন রেখে দিলেন এক অজানা ভয়ে। তার চোখে মুখে আমরা এখনো ভয় দেখতে পাচ্ছি। ফোন চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়!