জিহাদী- কেমন আছেন ভাই সাহেব? পত্রিকায় আপনাকে দেখলে বড়ই সৌন্দর্য লাগে।
কর্তৃপক্ষ- থ্যাংকিউ। তবে বাসায় না এসে কোন রিসোর্ট হলেও মন্দ হতো না।
জিহাদী- ভাই নেক্সট টাইম। ‘জান্নাতে মামুন’ এখন আপনাদের কাছেই তো আছেন। তো তাকে ধরে আপনার শখের খামার কি আরো বড় করার ইচ্ছে আছে?
কর্তৃপক্ষ- দেশবাসীরর মতোন তা একটু ইচ্ছে তো আমাদেরও আছে। দু’চারটা দিয়ে আর কতই বা বড় হবে খামার!
জিহাদী- তা বটে। জনাব গত কিছুদিন আগে ‘তান্ডব’ সিরিজটা দেখলাম। তাও বড়ই সৌন্দর্য লাগলো। সাইফ ভাইকে দেখে সাথে সাথে আমরাও কাজে লেগে গেলাম। আপনার শখের খামারে কোন সমস্যা হয়নি তো?
কর্তৃপক্ষ- দেশের তো বড়সড় সমস্যা হইলো। ভালো ভালো সব প্রাণী তো আপনাদের কাছেই জনাব। আমার খামারে তো কিছু নেই বললেও চলে। হা হা।
জিহাদী- উনাকে রাখুন। খামার বড় করুন। একদিন পিয়ারে পাকিস্তানেও আপনার আরেকটি খামার চালু করতে পারবেন। পুরা একটা বাবু নগরী বানাতে পারবেন। আমাদের হাত থেকে শুরু করে শরীরের সবকিছুই লম্বা। হা হা। চিন্তা করবেন না, আমরা আছি সাহেব।
কর্তৃপক্ষ- আপনাদের ‘জান্নাতে মামুন’ খুবই মানবিক আছেন। আসার পর থেকে আমার পুরো খামার তিনি একাই মাতিয়ে রেখেছেন। ভাবছি একটা ‘আর ওয়ান ফাইভ’ গিফট করবো। হা হা।
জিহাদী- ভাই সাহেব, আমার একটা ইচ্ছে রাখতেই হবে আপনার। উহু, কোনভাবেই না করা যাবে না।
কর্তৃপক্ষ- বলুন, শুনি। রিসোর্টে রাখবো নাকি মাথায় রাখবো তা ভেবে দেখা যাবে পরে। হা হা।
জিহাদী- হা হা। মানবিক বিয়ের ব্যাপারটা একটু সিরিয়াসলি নেন ভাই। সারা দেশে এটার নিয়ম চালু করেন। হুজুররাও একটু মজ-মাস্তি করতে পারে মতোন কিছু কিছু সুবিধাও দেন। এইসব খুবই গুরুত্বপূর্ণ জনাব।
কর্তৃপক্ষ- তা বটে। ভাবছি সেন্টমার্টিন দ্বীপ শুধু আপনাদের নামেই করে দিবো। আপনার দলের লোকেরাই যাইতে পারবে বাকীরা প্রবেশ নিষেধ। একটু ফান টান করলেন আরকি!
জিহাদী- থ্যাংকিউ ভাই সাহেব। আজ উঠি। বারোটায় তান্ডবের বাকী দুইটা এপিসোড দেখতে হবে। ‘পথ হারাবো বলেই এবার পথে নেমেছি।’ হা হা। আজ যাই।
কর্তৃপক্ষ- ‘যাই’ নয়। বলেন আসি।
জিহাদী- ৮০ সাহেব। হা হা।