বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সাথে হেফাজত ইসলামের আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং জামাতের একজন শীর্ষ নেতার ফোনালাপ আমাদের হাতে এসেছে। ফোনালাপটির পুরাটা জুড়ে তারেক রহমানের গলা খুবই উত্তেজিত অবস্থায় ছিলো। ফোনালাপের গুরুত্বপূর্ন অংশগুলো ছিলোঃ
তারেকঃ হুজুর আসসালামু আলাইকুম
বাবুনগরীঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম
তারেকঃ হুজুর, আপনাদের কাজের কোন আগামাথা পেলাম না এখনও, বললাম কি আর করতেছেন কি?
বাবুনগরীঃ আমরা তো চেষ্টা করছি, এখন সরকার খুব টাইট অবস্থায় আছে, কথা শুনে না
তারেকঃ আমি বলছিলাম যে যত দ্রুত সম্ভব দেশের আনাচে কানাচে মাদ্রাসার ছাত্রদের ক্ষেপিয়ে তুলেন, থানায় হামলা করেন, সরকারি অফিসে হামলা করেন। টাকা যা চাইছেন সবই তো দিলাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করলেন না।
জনৈক জামাত নেতাঃ আমরা তো তাদের বলেছি আমরা আমাদের ব্যানারে মাঠে থাকতে পারবো না, মাঠে তাদের থাকতে হবে। ব্যাকআপ যা লাগবে আমরা দিবো। তারা সাহস করে না ক্যান
বাবুনগরীঃ আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি, আমাদের সব নেতা মামলা হামলার স্বীকার। আর আপনারা আছেন নিজেদের গা বাঁচাতে।
তারেকঃ (উত্তেজিত) আপনাদের বড় নেতাকে গ্রেফতার করছে এই সুযোগটা কাজে না লাগায়ে আপনারা চুপ কইরা আছেন। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এরচেয়ে বড় সুযোগ আর পেতেন না হুজুর। এখনও সময় আছে, দরকার হইলে দুই চারটা মাদ্রাসা আগে জ্বালায়ে দেন সেই সুযোগ নিয়া থানায় আক্রমন করান। প্লান করেন জলদি, সময় নাই তো হুজুর।
বাবুনগরীঃ আমার সাথে ত্যাজ দেখাবেন না, আমি আপনার বাবার বয়সি। মুখ সামলায়ে কথা বলেন। আপনার সাথে একটা ঐকমত হয়েছে, আমি আপনার চাকর না, আমারে রাগ দেখাবেন না।
জনৈক জামাত নেতাঃ আরে হুজুর চ্যাতেন কেন, এখন আপনাদের কোথায় ব্যাকআপ লাগবে আমাদের বলেন, আমরা আপনাদের সাথে আছি। তারেক সাহেবের রাগ হওয়া জায়েজ আছে। সে কতগুলা টাকা খরচ করছে, মানসিক যন্ত্রনা নিচ্ছে। বুঝেন না, আপনার তো এইটা বুঝতে হবে- এই সরকার পতন হলে আমরাই সব ক্ষমতা ভোগ করবো।
তারেকঃ হুজুর, যেভাবে বলছি সেভাবে করেন। জলদি কিছু একটা করেন, দুই চারটা লাশ ফেলতে হইলে ফেলেন। সময় নাই। রাখলাম। আল্লাহ হাফেজ, আমার জন্য দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে লন্ডন থেকে তারেক রহমান জামায়াতের মাধ্যমে হেফাজত ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর কাছে পাঁচ লক্ষ পাউন্ড পাঠিয়েছেন বলে গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে।
