ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবকিছুই জানি। গত নির্বাচনের আগে স্বাধীনতাবিরোধী ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করেছেন তিনি। তবে তার মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও মেয়ের স্বামী ডেভিড বার্গম্যান সম্পর্কে অনেক কিছুই এখনো আপনাদের অজানা। অপসাংবাদিকতার কারণে চাকরি হারানো এবং বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারণা চালানোর জন্য ইতোমধ্যে বার্গম্যানের মুখোশ খুলে গেছে। তবে আরও অনেককিছুই এখনো আপনাদের অজানা। বার্গম্যান ও স্ত্রী সারা হোসেনের গোপন মিশনের পরিধি আরো ব্যাপক এবং ভয়ঙ্কর।
এই বার্গম্যান একজন ইহুদী। সে একজন এজেন্ট। ব্যারিস্টার সারাকে বিয়ে করে বাংলাদেশে অবস্থান করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য। এসময় ধর্মপ্রাণ সহজসরল বাঙালি মুসলমানদের নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছিল বার্গম্যান। ২০১৪ সালে শাহবাগে হেফাজতের আন্দোলন স্থিমিত হওয়ার পর মুসলিমবান্ধব ছদ্মবেশে মাদ্রাসার কিশোর তরুণদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছিল সে।
তার মিশন ছিল, হত্যা-খুন এসবের গুজব ছড়িয়ে তরুণ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে উস্কে দেওয়া। এরপর ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করা। একারণে আল-জাজিরার সঙ্গে আঁতাত করে অনেক বানোয়াট করিয়ে নেয় বার্গম্যান। নিজের সাদা চামড়া ও ইহুদী ধর্মকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছ থেকে কারণে আলাদা সুবিধা আদায় করতো সে। সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে, এখন বিদেশে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে বানোয়াট গালগল্প ছড়াচ্ছে সে। আর এই সাদা চামড়ার বেকার ইহুদীকে মিডলম্যান হিসেবে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো।
এখানেই শেষ নয়, আপনি জানলে আরো অবাক হবেন। এই বার্গম্যান একদিকে বাংলাদেশের উগ্রবাদীদের কাছ থেকে টাকা খাচ্ছে। আবার, অপরদিকে প্রগতিশীলতার ছদ্মবেশে এলজিবিটি বা সমকামিতার অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকেও টাকা নিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত এলজিবিটি বা সমকামি ম্যাগাজিন রূপবান-এর প্রকাশনা উৎসবে বিদেশি প্রতিনিধিদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন বার্গম্যানের স্ত্রী ব্যারিস্টার সারা। তারা একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতাও করছে, আবার বিদেশ থেকে ডলার কামানোর জন্য দেশের মধ্যে সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথাও বলছে।
ধর্মীয় উগ্রবাদ এবং সাংস্কৃতিক উগ্রবাদ, ভিন্ন স্টাইলে বিপরীতধর্মী দুই ধরনের উগ্রতা ছড়িয়ে দেশকে অস্থিশীল করে তুলতে বেপরোয়া ভূমিকা পালন করছে এই পরিবার। অথচ দুই পক্ষ থেকেই দেদারসে ডলার কামাচ্ছে তারা। আর আমরা, আপনি-আমি-সাধারণ মানুষরা কী করছি? এদের মুখোশ খুলে দিন, এদের নোংরা খেলা থেকে নিজেকে সতর্ক রাখুন।