বিএনপির সাবেক সাংসদ বকুল ও তার ছেলে জঙ্গি সংগঠনের এজেন্টঃ তদন্তে নেমেছে এনআইএ

0
12

বাংলাদেশের সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল ও তার ছেলে সরদার নাফিসের বিরুদ্ধে ভারতের চেন্নাইয়ে একটি মামলা হয়েছে। মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিএনপির সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের ছেলে লন্ডনে পড়াশুনো করতে গিয়ে জিহাদী সংগঠনের এজেন্ট হিসাবে কাজ শুরু করে। সেখানে লাভ জিহাদের নামে ব্রেনওয়াশ করে ভারতের চেন্নাইয়ের ভিনিত বাইদের নামের এক শিল্পপতির মেয়েকে ধর্মান্তরিত করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। এই মামলার তদন্ত কাজ পরিচালনা করছে ভারতের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেসটিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)।

সূত্র মতে, বিতর্কিত ইসলামী ধর্মীয় নেতা জাকির নায়েক এবং পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান ধর্মীয় শিক্ষক ইয়াসির কাজীর সহায়তায় অর্পিতা নামের এই মেয়েকে ব্রেইনওয়াশ করে সরদার নাফিস। বিএনপির এককালের প্রখ্যাত নেতা সর্দার শাখাওয়াত হোসেন বকুলের ছেলে নাফিজ লন্ডনে পড়াশুনা করতে গেলে চেন্নাইয়ের এই মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারতীয় মেয়ে লন্ডনে নাফিজের সাথে বন্ধু হিসাবে দেখা করেছিল, তবে তিনি তখনও জানতেন না যে নাফিজ জাকির নায়েক এবং ইয়াসির কাজির ব্রেন ওয়াশ সংস্থার এজেন্ট হিসাবে কাজ করছেন। এই মেলামেশার এক পর্যায়ে নাফিস একপ্রকার জোড় করে ধর্মান্তর করে মেয়েটিকে।

সূত্র আরো জানিয়েছে যে জাকির নায়েক ও ইয়াসির কাজীর ভিডিও দেখিয়ে বাংলাদেশি ছেলে অর্পিতা বৌদকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। তথ্য অনুসারে, নাফিস পরে লন্ডনে বসবাসরত তার বোনকে সহ এই মেয়েটিকে অপহরণ করে এবং জোর করে তার পাসপোর্টও রেখেছিল। নাফিজ এখন অর্থ দাবি করা থেকে শুরু করে হুমকি পর্যন্ত দেওয়ার চেষ্টা করছে মেয়েটির বাবা-মা কে। এই নিয়েই নাফিসের বাবা বিএনপির সাবেক এমপি বকুল সহ ইসলামী ধর্মের গুরু জাকির নায়েক, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ধর্মীয় নেতা ইয়াসির কাজী, নওমান আলী খান (পাক-আমেরিকান নাগরিক, ইসলামিক গুরু) এবং নাফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে এই শিল্পপতি। অভিযোগের ভিত্তিতেই এখন এনআইএ তদন্ত শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল নরসিংদী ৪ আসনের ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। মামলার ব্যাপারে তাকে একাধিক বার টেলিফোন করলেও তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে বারবার ফোন কেটে দিয়েছেন।

comments

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here