সবাইকে করোনা পজিটিভ বানিয়ে ব্যবসা করতো বিএনপি নেতা শাহাবুদ্দিন

0
9

ভূয়া করোনা রিপোর্ট দেয়া শাহাবুদ্দিন মেডিকেলের মালিক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মদদপুষ্ট একজন বিএনপি নেতা। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এবং রমনা-তেজগাঁও আসনে বিএনপি থেকে তারেক জিয়ার মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন।

এই হাসপাতালটিকে প্রথমে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হলেও পিসিআর ল্যাব স্থাপন না করায় গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ওই অনুমতি স্থগিত করে। কিন্তু এরপরও হাসপাতালটি বাইরে থেকে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে প্রতিবেদন দিচ্ছে। এভাবে বাইরে থেকে নমুনা পরীক্ষা করে এনে দেওয়াও বেআইনি।

শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. মনসুর আলী অনুমতি স্থগিতের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অ্যান্টিবডি নির্ণয়ের জন্য বিদেশ থেকে শ’খানেক কিট আনা হয়। কিন্তু এখনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরই পরীক্ষা করতে পারেননি তারা।

করোনা দূর্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠান শাহাবুদ্দিন মেডিকেল মানুষের সাথে যেসব প্রতারণা করে আসছিলো। তা হলো- করোনা নেগেটিভ রোগীকে পজিটিভ রোগী বলে চিকিৎসা দেওয়াসহ পরীক্ষা না করে ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়া এবং অনুমোদন না নিয়েই গণস্বাস্থ্যের কিট দিয়ে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের এক পরীক্ষা চারবার দেখিয়ে বিল করতো তারা। একাধিকবার করোনা পরীক্ষার সনদ রোগীর ফাইলে সংযোজিত পাওয়া যায়নি। এভাবেই করোনা নেগেটিভ রোগীকে পজিটিভ বানিয়ে মোটা অংকের টাকা নিতো তারা।

হাসপাতালটি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও বিক্রি করে আসছিলো রোগীদের কাছে। হাসপাতালের পাঁচটি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। একটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল টিউব পাওয়া যায়। এসব টিউব সাধারণত অপারেশনে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার সময় রোগীর শ্বাসনালিতে ঢোকানো হয়। এছাড়া হাসপাতালের লাইসেন্সও গত বছর শেষ হয়েছে।

শাহাবুদ্দিন মেডিকেলের সহকারী পরিচালকের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, তারেক জিয়ার নির্দেশে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে শাহেদ ও শাহাবুদ্দিন ভূয়া করোনা পরীক্ষা করে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। আর এই প্রতারকদের কিট সরবরাহ করেছে গণস্বাস্থ্যের ডাঃ জাফরুল্লাহ। গণস্বাস্থ্যের অনুমোদনহীন কিট ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নিতো শাহাবুদ্দিন মেডিকেল।

তিনি আরো জানান, হাসপাতাল মালিক বিএনপি নেতা শাহাবুদ্দিনের নির্দেশেই ভূয়া করোনা রিপোর্ট দিতো তারা। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা বিএনপির পুরাতন অভ্যাস। শাহাবুদ্দিন মেডিকেলের মালিক এই বিএনপি নেতা ভূয়া করোনা রিপোর্ট দিয়ে দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে।

comments

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here