করোনাভাইরাস দুর্যোগে বিএনপি সাধারণ মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বাসায় থেকে শুধু সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত সময় পার করছে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয় এখন নেতাশূন্য। নেই কোন সাংগঠনিক কার্যক্রমও। এছাড়া কৃষকদল, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ প্রায় সব অফিসে তালা। হাই কমান্ড থেকে কোন সিদ্ধান্ত না থাকায় করোনায় মানুষের পাশে নেই বিএনপি।
বিএনপিতে আর রাজনৈতিক ছন্দ নেই। নেই কোন চেইন অব কমান্ড। যার ফলে এখন পর্যন্ত বিএনপি জনকল্যাণমূলক কোন কাজ করতে পারেনি। করোনা পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রাখা বিএনপির রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত। মানুষের পাশে না দাঁড়ানোর কারণে কখনো মানুষের ভালোবাসা পায়নি বিএনপি। বিএনপির মনোনয়ন কেনার সময় হাজার হাজার নেতা-কর্মী টাকার বস্তা নিয়ে লাইন ধরে থাকেন, কিন্তু মানুষের দুঃসময়ে তারা পকেট থেকে টাকা বের করতে চান না। এভাবে মানুষের জনসমর্থন আদায় করা যায়না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির কারণে দলের সব নেতারা স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। ফলে ত্রাণ কার্যক্রম কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় করা যাচ্ছে না। তাই সকল এমপি ও প্রার্থীরা নীরব রয়েছেন। নিজ থেকেও মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না এবং দলের সহায়তা কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছেন না।
করোনাভাইরাস সংক্রামণের আগে সিলেটে বিএনপির কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও এখন কর্মীদের পাশে নেই নেতারা। এমনকি সাধারণ মানুষের পাশেও নেই তারা। গুরুতর পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্বশীলদের অনুপুস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে নানা মন্তব্য করছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। দলীয় সহযোগিতা চেয়ে এপ্রিল ফেসবুকে লিখেছেন সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সাঈদ খান। তিনি লেখেন, ‘নিজ দলের নেতাকর্মীদের খবর নিন , সাহায্য সহযোগিতা করুন।
দেওয়ান জাকি চৌধুরী নামের সাবেক ছাত্রদল নেতা ফেসবুকে ১৩ এপ্রিল লিখেছেন- ‘সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতারা কই? সিলেটের মানুষের পাশে এবং অসহায় দলের কর্মীদের সহযোগিতা করুন, আমাদের পাশে পাবেন।’
বিএনপি নিজে জনগণের কাছে যাবেনা আবার সরকার যদি যায় আপনি তার সমালোচনা করবেন, সেটা তো ঠিক নয়। আপনার উচিত সরকারের উদ্যোগটা ভুল প্রমাণিত করে তার চেয়ে ভালো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে দেখানো। জনগণকে কাছে পেতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। দুঃসময়ে জনগণের খোঁজখবর নিতে হবে।