বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েক নেতার হাতে নিহত মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের খুনিদের বিচারের দাবির আড়ালে মাঠে নেমেছে জামাত-শিবির। আবরার হত্যাকাণ্ড ঘিরে ভয়াবহ নাশকতার চক্রান্ত শুরু করেছে ছাত্র শিবির। গেল তিন দিন ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে পুঁজি করে মাঠে নেমেছে তারা। একইদিকে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী হত্যা করে তার দায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উপর চাপানোর পরিকল্পনার খবর হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের।
আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে রাজপথে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে অস্থিরতা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দেয়ার চক্রান্ত করছে বিএনপি-জামাত চক্র। শিবিরের শীর্ষ কয়েক নেতার হাত ধরে আন্দোলনের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে জামায়াত-শিবির ও তাদের মদদপুষ্টদের হাতে। শিবিরের বাঁশের কেল্লাসহ প্রতিটি উগ্রবাদী ফেসবুক পেজ থেকে দেয়া হচ্ছে উস্কানি। তথ্য মিলছে আন্দোলনে লন্ডন থেকে ফান্ডিংয়েরও।
এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এবং বিভাগীয় শহর রংপুরে মিছিল করে শক্তি জানান দেয়ার চেষ্টা করছে তারা। মিছিলে বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ শ্লোগান ব্যবহার করে সরকার পতনের হুমকি দিয়েছে এই ছাত্র সংগঠনটি। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়ে দেশকে অশান্ত করার পায়তারা করছে ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন কর্মীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিবির নেতা জানান, আবরার হতাকান্ডে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের বেশিরভাগই জামাত-শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে ছাত্রলীগের পদদারী নেতা হয়েছে। আবরার হত্যায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা রবিনের দাদা জামাত থেকে দাড়িপাল্লা মার্কায় নির্বাচনও করেছে। সে গত রমজান মাসে জামাতের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করেছে।