একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার জন্য দেশের মানুষের কাছে ‘ক্ষমা না চাওয়ায়’ জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, যিনি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে শীর্ষ জামায়াত নেতাদের আইনজীবী দলের নেতৃত্বে ছিলেন।
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের এই পদত্যাগ কি আসল না নাটক চলুন একটু বোঝার চেষ্টা করি। ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পুরো রাজনৈতিক জীবন জামায়াত নির্ভর। এতো বছর জামায়াতের শীর্ষ রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে এখন এসে তিনি বলছেন, জামাতকে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি যখন প্রথম জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত হলেন তখন তিনি জানতেন না মহান মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকার কথা?
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের অবস্থানের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা না চাওয়ার কথা বলেছেন, আসলে এটি চারদিক থেকে কোনঠাসা হওয়া জামায়াতের কেবল খোলস পাল্টানোর পায়তারা। ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক পদত্যাগ করেছে, যাতে লন্ডনে বসে বাংলাদেশ বিরোধী চক্রের সাথে গোপনে ষড়যন্ত্র করে জামায়াতকে ক্ষমতায় বসাতে পারে। গোলাম আজম এক টিভি সাক্ষাৎকারে স্বগর্বে বলেছে, ‘জামায়াতের হেডকোয়ার্টার লাহোর। তখনও ছিলো লাহোর, এখনও লাহোর।
এরা ক্ষমা চেয়ে এত সহজে বদলে যাবে জামায়াত? মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এখনকার বাংলাদেশ, জামায়েত ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করেছে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অস্র হিসেবে। তবে দেশের বিশিষ্টজনেরা বলছেন, জামায়াত ক্ষমা চাইলেও তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতা করায় বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।