বিএনপি একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলে তৃণমূল বিএনপি দীর্ঘ এক যুগ পর নড়েচড়ে বসে। নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূল বিএনপি চাঙ্গা হলেও দলীয় মনোনয়ন পত্রে কার সাক্ষর থাকবে তা নিয়ে কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ত্রিমুখী লড়াই। এবারের নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের প্রধান হিসেবে জোটভুক্ত সবার মনোনয়নপত্রে ড. কামালের সাক্ষর থাকার কথা থাকলেও তারেক রহমনার দল ও জোটের উপর নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে নিজেই মনোনয়নের বিষয়টি দেখভাল করছেন। তারেকের এই খবরদারিকে ভালোচোখে দেখছেন না ড.কামাল। আবার দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হিসেবে তারেক রহমান আদৌ সাক্ষর করতে পারবেন কিনা তাও এখনো পরিস্কার হয়নি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে বিএনপির শীর্ষ নেতা ফখরুলের সাক্ষর করার কথা থাকলেও বিএনপিতে তারেক পন্থীরা ফখরুলকে মানতে নারাজ। এদিকে ফখরুল চান দলের মনোনয়নে হাওয়া ভবনের দুর্নাম আছে এমন কোন নেতা যেন নির্বাচন না করেন। ফখরুল অপেক্ষাকৃত ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দেয়ার পক্ষে থাকলেও তারেক তা চান না। বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে এই ত্রিমুখী লড়াইয়ে কোন সুফল না আসায় আপাতত প্রতি আসনে একাধিক প্রার্থীকে চিঠি দেয়ার কথা বলেছে মির্জা ফখরুল। যদি তারেক ও ফখরুলের এই দ্বন্দ্বের কোন অবসান না হয় তবে বিএনপির অধিকাংশ আসনেই একাধিক প্রার্থী থাকবে। ওই অবস্থায় ড.কামাল ফখরুলকেই সমর্থন করবে বলে জানা গেছে। ফখরুলের নেতৃত্বের অংশকেই আসল বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিবে ড.কামাল। এমনটা হলে নির্বাচনের ঠিক আগে আগে বিএনপির মধ্যে ভাঙ্গণ অবধারিত বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।