জামায়াত- বিএনপি যে আপন মায়ের পেটের ভাই তা তারা শুধু কথায় না কাজেও বারবার প্রমাণ দিয়েছে। এতো ঝড়-ঝাপটা সহ্য করেও তারা একে অপরকে আঁকড়ে ধরে আছে। নির্বাচন মাঠ থেকে শুরু করে আসন বন্টন সব জায়গাতেই জামাতের চাওয়া পাওয়াটাই বিএনপির কাছে বড়।
গত ১০ বছরে বিএনপির জ্বালাও-পোড়াওয়ের একমাত্র সঙ্গী জামায়াত। অন্যদিকে, জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের যখন ফাঁসি হয়ে গেলো তখন জ্বালাও-পোড়াওয়ে বিএনপিকে আপন বড় ভাইয়ের মতোই পাশে পায় জামায়াত। আর বরাবরের মতোই আপন বড় ভাইয়ের দায়িত্ব পালন করতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতকে ৩২ আসন দিচ্ছে বিএনপি। যাই হোক, বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও থেকে শুরু করে বিএনপির জঙ্গি অর্থায়ন সবখানেই জামাতের মোটা অংকের অর্থায়ন।
জামায়াত ছাড়া বিএনপির যেমন যাওয়ার জায়গা নেই তেমনি বিএনপি ছাড়া জামায়াতের দুঃখ বুঝার কেউ নেই। তাই তারা মিলেমিশে একাকার হয়ে প্রতিনিয়ত দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বিদেশে বসেও জামাতের শীর্ষ নেতার ছেলেরা করে যাচ্ছে সরকার উৎখাতের পায়তারা। লন্ডনে এই নেতাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে তারেক। আসন্ন এই নির্বাচনে নতুন কাঠের পুতুল পেয়েছে জামাত-বিএনপি। নাম ‘ঐক্যফ্রন্ট’। যে সব নেতাদের নেই কোন রাজনৈতিক পরিচয়, আছে শুধু ফাঁকা বুলি তারাই ঐক্যফ্রন্ট। এই ঐক্যফ্রন্টের ঘাড়ে ভর করে রাজনীতি আবার ফেরার শেষ চেষ্টা করছে দূর্নীতির দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির প্রবাসী নেতা তারেক রহমান।