সারাদেশের ১৩ লক্ষ আলেম ওলামা সোহরায়ার্দীতে উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি করে শোকরানা মাহফিল আয়োজন করে। কওমি সনদকে স্বীকৃতি দেয়ায় এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ মাহফিল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ খেতাব দেয়া হয়।
এতে ক্ষুদ্ধ হয়েছে বিএনপি। বিএনপির বিভিন্ন সূত্র জানায়, লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান এ বিষয়ে হোয়াটসএ্যাপ কলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে কথা বলেছেন। হেফাজতে ইসলামের আল্লামা শফীকে নিয়েও বাজে মন্তব্য করেছেন বলে জানা যায়। অনলাইনেও বিএনপির বিভিন্ন গ্রুপ থেকে আল্লামা শফি এবং হেফাজতকে গালি এবং হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনে বরাবরই হেফাজতকে পাশে চেয়েছিলো। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম পুরোপুরিভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থন করায় লন্ডনে বসেই বিএনপির কেন্দীয় নেতাদের তোপের মুখে রেখেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক শীর্ষ নেতা জানান, তারেক ভাই আমাদের অপদার্থ বলেন। তিনি বলেন, তোমরা হেফাজতকে বশে আনতে পারো নি। কিন্তু হাসিনা ঠিকই হেফাজতকে বশে এনেছে। সরকার বিরোধী একটা বিরাট অংশ সরকারের পক্ষে চলে গেলো।
বিএনপির অপর সূত্রে জানা যায়, তারেক রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনার সাথে হেফাজতে ইসলামের এ ঐক্যের চরম মূল্য দিতে হবে হেফাজতকে। তাই নির্বাচন প্রতিহত করার পাশাপাশি বিএনপি নেতাকর্মীদের কওমি মাদ্রাসগুলোতে হামলার নির্দেশ দেন তারেক।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেন নি।
এদিকে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শেখ হাসিনা সম্মানসূচক উপাধী পাওয়ায় বিএনপি অফিসে চলছে নানান রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের ছক। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, ৭ নভেম্বরের পর যদি নির্বাচন করা হয় তবে, যে কোনো মূল্যে নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। তাই তারা কৌশল ঠিক করছেন।