বিএনপিকে ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচাতে অথবা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যারা তথাকথিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে নাম লিখিয়ে নেতা হয়েছে তাদের জনগণ খুব ভাল চেনে। আ স ম রব, মান্না বা ড. কামাল কেউই মূলত বিশ্বস্ত নন। তারা একে অপরকে সরিয়ে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পায়তারায় ব্যস্ত।
শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হওয়ার জন্য এবার আটঘাট বেঁধেই আ.স.ম আব্দুর রবের পিছনে লেগেছেন কামাল। তাদের সমাবেশে, গোপন বৈঠকে আর আগের মতো ডাকেন না তিনি। কেমন জানি ঐক্য গঠনের প্রতিটি পদে তার সঙ্গে লুকোচুরি করে চলেছেন কামাল। বি চৌধুরীকে বাদ দেয়ার আগে যেমনটি করেছিলেন তিনি।
এক চেয়ারে দুজন বসার যখন জায়গা নেই তারা একে অন্যকে ল্যাং মারবেন এটাই নিয়ম। সে নিয়মে যখন বি চৌধুরী ল্যাং খেয়ে এই জোট জোট খেলায় আপাতত বাইরে চলে গেছেন। এইবার রবকেও একই ল্যাং মারার পায়তারা করছেন ডঃ কামাল। মান্নাতো অলরেডি আর একবার অডিও টেপ বন্দী। ফলে এই জোটের ভবিষ্যত কি তা বুঝিয়ে বলার দরকার পড়ে না।
খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইতে গিয়ে তাঁর দলের সঙ্গে আঁতাত করে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পাকিস্তানের কারাগার থেকে একসঙ্গে ফিরে আসা কামাল যা করছেন তার নাম বিশ্বাসঘাতকতা। ড. কামাল যৌবনে জেনারেল জিয়ার বিরুদ্ধে নেতা হতে চেয়েছিলেন। তখনও তাঁকে রাষ্ট্রপতি বানানোর চিন্তা করা হয়েছিল অথচ ঢাকার লোকাল মাস্তান প্রয়াত আবুল হাসনাতের ধমকেই তিনি চলে গিয়েছিলেন দেশ ছেড়ে। রহস্যময় ড. কামাল হোসেন মাঝখানে বাম নেতাদের নেতা হয়েছিলেন। লজ্জা আর কাকে বলে। বামাতী নামে পরিচিত এরা নাকি ত্যাগী। এরা সবাই মিলে গণফোরাম নামের যে গণফোঁড়া তৈরি করে তাঁকে নেতা বানিয়েছিলেন তারা আজ কি বলবেন?
হায় হোসেন। হায় হোসেন। কামাল সাহেব ইতিহাস আপনাকে মার্জনা করবে না । জনগণ দেখে আর মুখ লুকিয়ে হাসে। কামাল শেষ বয়সে এসে রাষ্ট্রপতি হওয়ার লোভে কতোটা নিচে নেমে গেছে তার মুখোশ এখন জাতির সামনে। যাদের সঙ্গে জোট করেছিলেন তাদের একে একে ঐক্য থেকে বের করে দিচ্ছেন ডঃ কামাল।