আগামীকাল ১০ই অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়। এই মামলার আসামি তারেক রহমানের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড হোক এমনটাই চায় বিএনপির একাংশ।
সূত্র জানায়, ৫ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে বন্দি দলটির চেয়ারপারসন বেগম জিয়া। এখন বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেকের মৃত্যুদন্ড হলে তিনি আর দেশে আসতে পারবেন না কিংবা সরকার তাকে দেশে এনে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করবে আর তাতে সাধ্য সিদ্ধি হবে বিএনপির নেতাদেরই।
সূত্রটি আরো জানায়, দলের দুই শীর্ষ নেতা কারাগারে কিংবা দেশের বাইরে থাকলে মহাসচিব মীর্জা ফখরুলের একক হাতে চলে আসবে বিএনপি। সেই সাথে লাভবান হবেন দলের বেশ কিছু সিনিয়র নেতাও। মাইনাস ফরমুলায় সায় দেয়া এসব নেতাই এখন স্বপ্ন দেখছেন এমপি মন্ত্রী হওয়ার। জাতীয় ঐক্যের ব্যানারে হোক কিংবা সরকারের সাথে সমোঝোতা করেই হোক, এমপি মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বুধ হয়ে আছে দলটির বেশ কিছু সিনিয়র নেতা। তাদের এমন সব স্বপ্ন পূরন হতে গেলে দলটির শির্ষ দুই নেতাকে বাদ দিয়েই আগাতে হবে এমনটাই মনে করেন একাধিক সিনিয়র নেতা।
তবে দলটির এমন অনেক নেতা আছেন যারা মনে করেন যে তারেক রহমান সত্যিকার অর্থেই ২১ শে আগস্ট হামলার সাথে জড়িত, আর বিচার ব্যবস্থা অনুযায়ি সাজা তার প্রাপ্য। দলটির এক স্থায়ী কমিটির সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তিনি(তারেক) দলকে(বিএনপি) একটা জঙ্গি দলে পরিনত করেছিলেন, দূর্নীতি, ভাগ বাটোয়ারা, টেন্ডারবাজি, কমিশন নানা অপকর্মের সাথে সাথে মানুষ হত্যায়ও হাত ছিলো তার। তিনি দেশকে এবং দলকে বিব্রত করেছে বারবার, এমন একজন ব্যক্তি কে দলের শীর্ষ নেতা করলে জনগন আর কোনদিন ভোট দিবে না বলেও মন্তব্য করেন এই নেতা।