দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে আন্দোলনের নতুন ইস্যু পেতো বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। শনিবার (৬ অক্টোবর ২০১৮) বিকেলে চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে আনার কিছুক্ষন পরেই কক্সবাজারের উখিয়ায় এক ঘরোয়া বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন বলে জানান বৈঠকে উপস্থিত উখিয়া উপজেলার এক শীর্ষ নেতা।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি দলটির সিনিয়ার নেতার কাছ থেকে এমন মন্তব্য পেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, দলটির চেয়ারপারসন জেলে যাওয়া এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বিদেশে অবস্থান করায় দেশে বসবাস করা নেতারা দুই ভাবে ভাগ হয়ে গেছেন। এক পক্ষ খালেদা কে চিকিৎসা দেয়ার জন্য বিদেশে পাঠাতে ইচ্ছুক থাকলেও অন্য পক্ষ তাকে চিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে রাখার পক্ষে ছিলেন। সূত্র জানায়, খালেদা কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তা নিয়ে দলটি নতুন করে আন্দোলনে যাওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন। এই পক্ষকে নেতৃত্ব দিতেন খোদ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল, এমনটাই নিশ্চিত করেছে সূত্র। সূত্র আরো জানায়, বিএনপি নেতা ফখরুল মওদুদ গয়েশ্বর নজরুল ইসলাম খান মিলে খালেদাকে চিকিৎসা থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন। চিকিৎসা না পেয়ে কারাগারে খালেদা অসুস্থ হয়ে পড়লে আন্দোলনে যাওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করে রেখেছিলো দলটির বেশ কিছু সিনিয়র নেতারা। তবে তাদের এই উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে দলটির চেয়ারপারসন এক প্রকার ক্ষুদ্ধ হয়ে কারাগারে দেখা করতে আসা আত্মীয় স্বজনদের জানান যে তার চিকিৎসা প্রয়োজন। আত্মীয় স্বজন দেখা করার চার দিনের মাথায় আজ বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি হন বেগম জিয়া।