বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা দলীয় ক্ষমতার বাইরে থাকার সুবিধা নিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির ব্যানার নিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের সাথে হাত মিলিয়ে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করার চেষ্টা করছেন। সেই ক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব দাবি করেছেন ঐক্যের কাছে। তবে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন ১৭ মামলার আসামি লন্ডনে নির্বাসিত তারেক রহমান ঐক্যে যেতে রাজি হলেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঐক্য কে নেতৃত্ব দেয়া ডঃ কামালের উপর আস্থা রাখতে চাইছেন। দলটির শীর্ষ নেতাদের এমন দোটানা স্বিদ্ধান্তে বিভ্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল বিএনপির নেতা কর্মীরা।
সূত্র জানায়, দূর্নীতির মামলায় কারাগারে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান সাজা মাথায় নিয়ে লন্ডনে নির্বাসিত আছেন। এমতাবস্থায় দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ক্ষমতার লোভে নিজ দলের শীর্ষ দুই নেতাকে বাইরে রেখেই নির্বাচনে অংশগ্রহন করার স্বিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর তাকে পিছন থেকে দলটির বেশ কিছু সিনিয়র নেতা সমর্থন দিচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে মউদুদ আহমেদ বেশ কয়েকবার বিএনপির মিটিং এ এই প্রস্তাবটি তুলেছেন এবং সবার সমর্থন চেয়েছেন। প্রায় ১২ বছর ক্ষমতার স্বাদ না পাওয়া এসব সিনিয়র নেতারা এমপি, মন্ত্রী হওয়ার লোভে বৃহত্তর ঐক্যে যেতে রাজি হয়েছেন। এ ব্যাপারের বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মোশারফ হোসেনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, ঐক্যে প্রক্রিয়া হয়েছে, নির্বাচনে আমরা যাবো মহাসচিবের নেতৃত্বে। এখন দলের শীর্ষ নেতারা জেলে থাকলে দল তো আর বসে থাকবে না। ক্ষমতায় এলে তখন শীর্ষ নেতাদের মুক্তিতে আর কোন বাধা থাকবে না বলে জানান তিনি। তবে তারেক রহমানের পছন্দের কথা বলতেই এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাননি তিনি।