সরকার বিরোধী জোড়ালো ভূমিকা রাখতে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে বড় টোপ দিয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। তারেক রহমান এই কাজে ব্যবহার করেছিলেন একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম। এই ঘটনা এতদিন চাপা থাকলেও সম্প্রতি তা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ড.কামালের মেয়ের জামাই ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে তারেক সিনহা এবং তাদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য বেছে নিয়েছিল। তারেক রহমানের প্রত্যাশা ছিল সিনহা এমন একটি রায় দিবেন যাতে করে পাকিস্তানের মত বাংলাদেশেও আদালতের রায়ের মাধ্যমে সরকারের পতন হয় বা অনন্তপক্ষে সরকার প্রধানকে সরে যেতে হয়। এই বিষয়ে সিনহাকে আইনী সহায়তা দেয়ার জন্য ডেভিড বার্গম্যানকে দিয়ে ড.কামাল হোসেনকে রাজি করিয়েছিলেন তারেক রহমান।
তারেক রহমানের ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজও শুরু হয়েছিল। তারেক রহমান, ড.কামাল এবং বার্গম্যানের পরবর্তী টার্গেট ছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায়১৫৪ জনের বিরুদ্ধে রিট করা হবে এবং তা সিনহা বাতিল করে দিলে আপনা আপনি সংসদ ভেঙ্গে যাবে। সেই সময় সাময়িক সময়ের জন্য ১৯৯১ সালের মত বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের মত সিনহা দেশের দায়িত্ব নিবেন। পরবর্তী নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে পারলে সিনহার জন্য থাকবে আরো বড় পুরুস্কার। কিন্তু এরই মাঝে সিনহার নানা দুর্নীতি এবং অপকর্ম প্রকাশ হতে থাকলে বিচারপতি হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা হুমকির মুখে পড়ে।
সম্প্রতি এস কে সিনহার লেখা বই প্রকাশ হলে তার অতীত অপকর্মেল গোপন তথ্য বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে। আমেরিকাতে বাড়ি, দুই কোটি টাকার চেক, ক্ষমতা খাটিয়ে প্লট বরাদ্দ, জমি দখল, ৬০ কটি টাকার উৎকোচ গ্রহন, অর্থের বিনিময়ে জাজ নিয়োগ, জামায়াতের থেকে টাকা নিয়ে সরকার বিরোধী বই লেখা, টাকা পাচার এমন সব খবর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রে তারেকের সাথে সায় দেয়া।
বিএনপি মাঠে তাদের রাজনৈতিক কোন প্রকার কর্মকাণ্ড বা শক্তি দেখাতে ব্যর্থ হয়েই পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার বা যেকোন মূল্যে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে গত এক দশক ধরে। বিএনপি বা তারেক রহমান সরকার উৎখাতের সবচেয়ে বড় সুযোগ পেয়েছিল সিনহার মাধ্যমে। পরবর্তী বড় পুরুস্কারের লোভে সিনহাও তাতে সাড়া দেয়। কিন্তু তারেক, ড.কামাল সিনহার ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গেলে সেই যাত্রায় তারা সফল হতে পারেনি। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্রও থেমে থাকেনি।
আসন্ন একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং বিচার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বিশ্বব্যাপী প্রমাণ করতে তারকে রহমান মরিয়া যে, বাংলাদেশে কোন আইনের শাসন নেই। এই কারণে স্বেচ্ছা নির্বাসিত সিনহাকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে বই লিখেয়েছে এবং সেখানে সিনহা মনগড়া অনেক কথা লিখেছে যা বাস্তবতার সাথে কোন মতেই সঙ্গতিপূর্ণ না।