
আমরা সবাই জানি যে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এনজিও আইসিসিও কোঅপারেশন বাংলাদেশের প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক সিজার তাভেলা। ৩ অক্টোবর২০১৫ শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার কচুআলুটারি এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন জাপানী নাগরিক হোসে কোনিও।
হত্যাকান্ডে আইএসের সংশ্লিষ্টতা থাকার বিষয়টি মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এবং এদেশে বিদেশিদের অবস্থান নিরাপদ নয় তা প্রমাণের জন্যই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করে।”
বিভিন্ন গোয়েন্দাসূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে ঢাকা ও রংপুরে দুজন বিদেশীকে গুলি করে হত্যার পর লন্ডন বিএনপির ভেতর থেকেই দায় স্বীকার করা হয়েছে। বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত করতেই দুই বিদেশী হত্যা আর এসব হত্যাকান্ডের সঙ্গে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান জড়িত। পুরো বিষয়টিই দেশী-বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার দীর্ঘ অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
“দুই বিদেশী হত্যাকারী শনাক্ত” শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়া লন্ডন থেকেই এই হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছে। বহুল আলোচিত হত্যাকান্ডে খুনি শনাক্ত হওয়া তারেক এবং খালেদা এখনো লন্ডনে বসবাসরত আছে বলে একটি বেসরকারী গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিশ্বের একটি প্রভাবশালী বেসরকারী গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করছে। ইতালীয় ও জাপানী খুনের পর থেকেই লন্ডন বিএনপিতে দেখা যাচ্ছে নানান অস্থিরতা। গোয়েন্দা সূত্রে আরো জানা গেছে, দুই বিদেশী খুনের ঘটনায় বাংলাদেশে বিএনপির যারা জড়িত তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
উপরোক্ত তথ্যসূত্রের আলোকে, দুই বিদেশি হত্যাকান্ড ঘটনাটির সাথে জড়িত রয়েছে সরকার তথা দেশবিরোধী অপরাজনৈতিক শক্তি বিএনপি। ওই শক্তি রাজনৈতিকভাবে সরকারকে মোকাবেলা করতে না পেরে এখন দেশবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে। এই শক্তিই বিদেশে শত শত কোটি টাকায় বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করে সরকার তথা দেশ বিরোধী প্রচারনা চালাচ্ছে। এদের অপপ্রচারের কারণেই এক টাকাও বরাদ্ধ না করে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে গেছে বিশ্বব্যাংক। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতেও দেশ-বিদেশের হলুদ সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী সাংবাদিকদের দিয়ে বিরূপ প্রচারণা চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে।