কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে নিজেদের নীল নক্সা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়ে ভয়ংকর এক ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছে বিএনপি- জামায়াত, এমনটাই নিশ্চিত করেছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।
সূত্র মতে, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে সরকার পতন আন্দোলনে রুপ দিতে চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ভয়ংকর এক পরিকল্পনা একেছে বিএনপি-জামায়াত। সারাদেশের আওয়ামী অর্ধূষিত বেশ কিছু এলাকা নির্ধারন করেছে তারা, এসব এলাকায় টার্গেট করা হচ্ছে কম বয়সি মেয়েদের। একটা নিদৃষ্ট দিনে, কিংবা একাধিক দিনে একসাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল কলেজের মেয়েদের ধর্ষন করে একটা আন্দোলনে নামতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে বিএনপি-জামায়াত। আর তাদের এই ভয়ংকর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বেছে নেয়া হয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলন গ্রুপ কে। এই গ্রুপের একাধিক ব্যাক্তি যারা শিবির ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত এমন কয়জন কে সাথে নিয়ে বিএনপি-জামায়াত এর নেতৃস্থানীয় নেতারা ভয়ংকর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চিন্তা করছেন। একটা সাধারন মানববন্ধন থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে যেতে সমস্ত রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছে তারা। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে উষ্কানির জন্য গ্রেফতারকৃত ছাত্রদলের এক নেতার কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
গ্রেফতারকৃত সেই নেতা আরো জানায়- ভয়ংকর এ ষড়যন্ত্রে দেশে এবং প্রবাসে অবস্থান করা একাধিক নেতা অর্থিক সাহায্য দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই পরিকল্পনায় যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের হাতে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা এসেছে। ভয়ংকর এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দিবে বলেও সম্মতি দিয়েছে তারা। তিনি আরো বলেন- কোটা সংস্কার আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন আন্দোলনে যাওয়ার পথ খুজছিলাম আমরা, তখন সিনিয়র নেতাদের সাথে এক বৈঠকে ভাইয়া(তারেক রহমান) অডিও কনফারেন্সে আসেন এবং কিছু দিক নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনার উপর ভিত্তি করেই এই ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছিলাম আমরা। আর ঠিক সে সময়ে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন এক প্রকার মুখের সামনে তৈরি খাবার হয়ে এসেছে আমাদের কাছে। উপরের নির্দেশে আমরা এই আন্দোলনে ঢুকে পড়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেতে চেয়েছিলাম, দেশ জুড়ে গুজব এবং হামলা করে সরকার পতন এর পরিকল্পনা ছিলো আমাদের।