সরকারবিরোধী বুদ্ধিজীবীদের সাথে খন্দকার মোশাররফের বৈঠক

0
15

খন্দকার মোশাররফ বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য। ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। জেনারেল জিয়া যখন বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন তখন সামরিক স্বৈরশাসকের হাতে ফুল দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে যোগ দেন বিএনপিতে। এক সময়কার শিক্ষক পরিচয় থাকায় এবং আওয়ামী লীগ বিরোধী ভূমিকার কারণে ঢাকার আওয়ামী বিরোধী বুদ্ধিজীবীদের সাথে মোশাররফের রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিএনপির ঘরে তুলতে তাই তারেক রহমান বিএনপির শীর্ষ নেতাদের একেকজনকে একেক অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছে। তার মধ্যে খন্দকার মোশাররফ এর উপর দায়িত্ব পড়েছে সকল সরকার বিরোধী বুদ্ধিজীবীদের এক করার। যাতে তারা এই আন্দোলনকে পিছন থেকে শুধু সমর্থনই দিবেন এমন না এর জন্য জনমতও তৈরী করতে পারেন।

এখনো শিক্ষকতা করছেন এমন কয়েকজন বুদ্ধিজীবীদের সাথে বৈঠক করেছেন যাতে তারা তাদের শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিতে পারেন আন্দোলনে। এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মতে জানা যায়, মোশাররফ এর সাথে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, ড. আসিফ নজরুল, ড. আনু মহম্মদ, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ অনেকেই। বৈঠক সূত্রমতে, বিএনপি এই আন্দোলনকেই তাদের শেষ সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছে। কারণ একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরি নেই। তাই যা করার এখনই করা উচিত বলে তারা তাদের কর্মপন্থা ঠিক করতে চায়।

এই লক্ষ্যে তারা বর্তমান সরকার বিরোধী সব গোষ্ঠীকে এক কাতারে আনতে সবোর্চ্চ চেষ্টাটাই করছে। এই মুহূর্তে বিএনপি এই আন্দোলনকে সারা দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন হিসেবে ছড়িয়ে দিতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এমন সব বিএনপি বা ছাত্রদল করা ছেলেদেরকে এরই মধ্যে সারা দেশ থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে বলেও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে মোশাররফ। এখন বাকি কাজ হলো ওই সুশীল সমাজ যাতে তাদের লেখনী ও টকশোতে এই আন্দোলনের যৌক্তিকতার পাশাপাশি সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলে চলমান আন্দোলকে সরকার বিরোধী আন্দোলনর গ্রাউন্ড তৈরী করে দেয়। এর সুফলও বিএনপি পেতে শুরু করেছে বলেই মনে করছে দলটি। কারণ ঢাকার রাস্তায় শনিবার থেকে ছোটদের আর সেইভাবে আর আন্দোলনে দেখা যাচ্ছে না। সেই জায়গা দখল করেছে শিবির-ছাত্রদলের ছেলেরা।

সোমবার সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনু মুহম্মদের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ারও প্রস্তুতি নিয়েছিল। যদিও তা পরে তারা বাতিল করতে বাধ্য হয়। বৈঠকে মাহমুদুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয় নিউজ এমনভাবে টুইস্ট করার যাতে সাধারণ জনগণ যেন তা সত্য বলে বিশ্বাস করে। ২০১৩ সালে বিএনপির জন্য জীবনবাজি রেখে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় তার পত্রিকা আমার দেশের ভূমিকাকে সাহিসী বলে তার প্রশংসা করেন খন্দকার মোশাররফ। মাহমুদুর রহমান প্রস্তাব দেন একটা প্যানিক ক্রিয়েট করতে হলে কিছু ভ্যালিড কারণ থাকতে হয় বা এমন কারও ফেসবুক আইডি থেকে দিতে হবে যাতে করে তা বিশ্বাসযোগ্য হয়। পরে সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় নারী ফেসবুক আইডি থেকে এবং সম্ভব হলে সেলেব্রিটি আইডি দিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে আন্দোলনকে মোটিভেটেড করা হবে। এর জন্য বাজেট কোন বড় সমস্যা না বলেও মোশাররফের পক্ষ থেকে নিশ্চত করা হয়।

comments

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here