মন চাইলেই সংবাদ সম্মেলন করে বক্তব্য দিতে পারবেন না বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর। হাইকমান্ড থেকে এক নিষেধাজ্ঞা পত্র দেয়া হয়েছে তাকে। এখন থেকে প্রয়োজনীয় ইস্যুতে বক্তব্য দেয়ার আগে অনুমতি নিতে হবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। বিশেষ পরিস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটি।
রিজভী কে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে প্রতিটি প্রেস কনফারেন্সের আগে সবকিছু অবহিত করে হাইকমান্ডের অনুমতি নিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বহীন ইস্যুতে যখন তখন প্রেস কনফারেন্স ডেকে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দেয়ায় তার প্রতি বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন দলটির সিনিয়র নেতারা। বিএনপির সিনিয়র নেতা ও জোটের বহু গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার যখন তখন প্রেস কনফারেন্স আয়োজনে। নেতাদের সে বিরক্তি-ক্ষোভে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে সমপ্রতি। দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা না করেই অদূরদর্শী ও আত্মঘাতী বক্তব্য দিয়েছেন স্পর্শকাতর কিছু বিষয়ে। আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক নিয়ে তার সামপ্রতিক কতিপয় বক্তব্য নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিএনপি। তিনি যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে দলের অবস্থানের কোনো মিল তো নেই-ই, উল্টো সাংঘর্ষিক। যা রাজনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত বিএনপিকে খাদের কিনারে ঠেলে দিচ্ছে। ফেলে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলের সন্দেহের ঘূর্ণাবর্তে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হয়ে বিএনপির হাইকমান্ড অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে রুহুল কবির রিজভীর ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেয়।
রিজভীর উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, তিনি নিজে একাই বিএনপির মালিক মনে করেন, নিজেকে তিনি তারেকের আশির্বাদপুষ্ট মনে করেন। তার সেচ্ছাচারিতা দিন দিন বাড়িছিলো, তাই তাকে এমন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হতে পারে বলে জানান দলটির একাধিক সিনিয়র নেতা।