নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করলেও যেকোন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বিএনপি। এই লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩০০ আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছেন।
কয়েক দফা জরিপ চালিয়ে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীও চূড়ান্ত করা হয় বলে জানা গেছে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠপর্যায়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণাও শুরু করেছেন।
দলটি আশা করছে, ভোটের আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্তি লাভ করবেন। কোনো কারণে তিনি মুক্তি না পেলেও সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে দলটি। হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরপরই মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়বেন প্রার্থীরা।
এরই মধ্যে তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতাদের নিয়ে একাদশ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তারেক রহমানের টেবিলে যাওয়া দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় আগের মত তারেক রহমানের পছন্দের প্রার্থীরাই এগিয়ে রয়েছেন। অনেকের বিরুদ্ধে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সরাসির জঙ্গিবাদের পৃষ্টপোষকতার অভিযোগসহ রয়েছে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের।
তারেক রহমানের পছন্দের ৩শ’ আসনের প্রার্থীদের মধ্যে বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময় সরাসরি জঙ্গি সংগঠন জেএমবির পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে রয়েছেন নওগাঁ-৬ আসনের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, রাজশাহী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি আবু হেনা, রাজশাহী-৫ আসনের নাদিম মোস্তফা এবং নাটোর-২ আসনের সাবেক উপ-মন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
উত্তর বঙ্গের এই সাবেক সংসদ সদস্যরা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তৎকালীন সময়ের ত্রাস জেএমবির উত্থানকে ত্বরান্বিত করেছিল। শুধু তাই নয়, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই সেই সময় দেশব্যাপী জেএমবি তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছিল।
তারা সকলেই আবার সেই সময়ের বহুল আলোচিত হাওয়া ভবনের আর্শিবাদপুষ্ট ছিলেন।
বিএনপির অনেক উত্থান-পতনের পর সবাই আশা করেছিলেন হয়তো এবার স্বচ্ছ ও গ্রগণযোগ্য ইমেজের প্রার্থী দিয়ে বিএনপি তাদের অতীত রাজনীতি থেকে ফিরে আসবে। কিন্তু তারেক রহমান প্রমাণ করলেন তিনি এখনো সেই আগের মতই তার রাজনীতিতে অটল রয়েছেন।