দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার পর কেটে গেছে প্রায় এক মাস। ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে, ঘটনার ক্রীড়নক দুই ‘বড় ভাই’য়ের কথা বলছে দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক, যদিও পুলিশের দাবি একজন বড় ভাইয়ের সন্ধানে রয়েছেন তারা।
তাবেল হত্যার ঘটনায় চারজনের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে দায় স্বীকার করেছে জানিয়ে সোমবার (২৫ অক্টোবর) পুলিশ জানিয়েছে, এ হত্যায় কলকাঠি নেড়েছেন একজন ‘বড় ভাই’। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
তবে পত্রিকাগুলো বলছে, এরই মধ্যে দুই ‘বড় ভাই’য়ের পরিচয় জেনে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশির হত্যায় কলকাঠি নেড়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল। আর রাজধানীতে তাবেলা সিজার হত্যার মিশন পরিচালনা করেছেন বাড্ডার আলোচিত বিএনপি নেতা সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আবদুল কাইয়ুম। এবং এই দুইজন-ই বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে সম্পৃক্ত।
কুনিও হোশির হত্যায় হাবিব উন নবী খানের সংশ্লিষ্টতার যুক্তিতে বলা হয়, ঘটনার পরপরই তারেক রহমান তাকে আত্মগোপন করে ভারতে চলে যেতে বলেন। এখন তারেক রহমান মনে করছেন সেখানে তিনি নিরাপদ না তাই তাকে লন্ডনে পাড়ি জমানোর কথা বলছেন। এরই অংশ হিসাবে, প্রস্তুতিও সম্পন্ন করে ফেলেছেন তিনি। দুয়েকদিনের মধ্যেই রওনাও হয়ে যাবেন।