প্রশ্নটা দীর্ঘদিনের তবুও সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে আবারো সামনে চলে এসেছে, বিএনপি কি আসলে অপরাধীদের দল? এমন প্রশ্ন জনমনে আসার কারণ হলো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আপত্তি জানিয়েছিলেন।
তিনি জেলে যাওয়ার আগেও জঙ্গি বিরোধী অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা কথা বলেছেন। তার অভিযোগ ছিল জঙ্গি বিরোধী অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ বা তাদের দলের মানুষকে মারা হচ্ছে।
অতি সম্প্রতি মাকদ কারবারীদের ধরতে দেশব্যাপী ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। কোথাও কোথাও মাদক গ্যাংদের সাথে পুলিশের গুলিবিনিময়ও হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে মাদক ব্যবসায়ীরা ক্রসফায়ারে মারাও পড়ছে।
এনিয়ে দেশবাসীর মধ্যে একটি কোন ধরনের অনুশোচনা নেই। কারণ মাদক একটি পরিবারকে ধ্বংস করতে যথেষ্ট। তাই সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানকে দেশের সর্বস্তরের মানুষ স্বাগত জানিয়েছে।
শুধু মানতে পারেনি বিএনপি। তাই দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়াপল্টনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষাবলম্বন করেছেন নির্লজ্জের মত। যা দেশবাসীকে আসলে খুত হতাশ করলেও অবাক করেনি।
কারণ বিএনপির যে শ্রেণি চরিত্র তাতে ওই দলটিতে কোন আদর্শিক মানুষ রাজনীতি করে না। বিএনপিকে মানুষ সমর্থন করে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থের কারণে।ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্যই মূলত দলটিতে বিভিন্ন ধরেনর মানুষের সমাহার ঘটেছে।
আর এভাবেই বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির যেমন বড় আশ্রয়স্থল তেমনি মাদক ও চোরাকারবারীদেরও অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এর বড় প্রমাণ হলো দেশের কুখ্যাত চোরাকারবারি লুৎফর জামান বাবরকে খালেদা জিয়া তারেক রহমানের পরামর্শে তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করেছিল।
এখন সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন কেন বিএনপি মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। দলটি ক্ষমতায় নেই প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে।
কিন্তু তাদের দলের নেতাদের বিলাসী জীবন-যাপন দেখলে আশ্চর্য হতে হয় বৈকি। তাহলে এই অর্থের যোগান আসে কোথা থেকে? খোজ নিয়ে জানা গেছে বিএনপি ও তার বিভিন্ন সহযোগি সংগঠনের বেশ কিছু নেতা মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।
চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে যাদের রেহায় পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই বিএনপি আগে থেকেই মাদক বিরোধী অভিযানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কারণ মাদক ব্যবসার টাকা বিএনপি দলীয় ফান্ডেও জমা হয় তারেক রহমানরে নির্দেশে।
আর এই কথা সকলেই জানি যে, দেশের অতি ডানপন্থী অংশ বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তাদের সাথেই রয়েছে। তাই জঙ্গিবাদ বা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বাংলাদেশে বিএনপি সব সময়ই তাদের দায়িত্ব পালন করেছে খুব নিষ্ঠার সাথে।
এমনকি বিগত ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময়ে বিনএনপির শীর্ষ মহলের আর্শিবাদে দেশব্যাপী জঙ্গিগোষ্ঠী জেএমবির উত্থান ঘটে। সেই সময়ে জেএমবির শীর্ষনেতা শাইখ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাই তাদের সকল মিটিংয়ের সময় খালেদা জিয়ার ছবি রাখতো।
তাই জঙ্গি বিরোধী অভিযানে বেগম খালেদার কলিজায় আঘাত লাগবে একথা সবাই অনুমান করতে পারি আমরা। কারণ বিএনপি তাদের রাজনীতি টিকিয়েই রেখেছে এমন সব অপশক্তির উপর ভর করে।